সর্বশেষ আপডেট : ১২ ঘন্টা আগে
মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ | ২৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ |

DAILYSYLHET
Fapperman.com DoEscorts

সড়কে পুলিশের বাঁধা, অটোবাইকেই গর্ভবতীর সন্তান প্রসব

জামালপুরের ইসলামপুরে এক গর্ভবর্তীর প্রসবব্যাথা উঠলে ভ্যান গাড়ি যোগে হাসপাতালে নেয়ার পথে পুলিশি বাঁধার মুখে বাড়ি ফেরার সময় অটোবাইকেই সন্তান প্রসব করলেন ঝর্ণা বেগম (২২) নামে এক গৃহবধূ। জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার কলেজ মোড় এলাকায় মঙ্গলবার সকাল ১১টা ১০ মিনিটে স্থানীয় মহিলাদের সহযোগিতায় সন্তান প্রসব করেন ওই গৃহবধূটি।

গৃহবধুটি ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা ইউনিয়নের ধনতলা গ্রামের এনামুল হকের স্ত্রী।

সকালে প্রসববেদনা উঠলে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়ি মিলে অটোবাইকযোগে ইসলামপুর হাসপাতালে রওনা দেন। পথে ইসলামপুর রেলগেইট এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে কর্তব্যরত এক এসআই তাদের বাধা দেন। অসহায় অবস্থায় ওই অটোবাইকে করেই তারা বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলেন। কলেজ মোড় এলাকায় এলে ব্যথায় কাতর হয়ে পড়েন গৃহবধূ। সেখানে অটোবাইক থামানো হলে স্থানীয় মহিলাদের সহযোগিতায় অটোবাইকের একপাশে কাপড় দিয়ে বেড়া দিয়ে সেখানেই সন্তান প্রসব করানো হয়।

সেখানে উপস্থিত কলেজমোড় এলাকার বাসিন্দা মোস্তাফিজুর রহমান তার ফেসবুক আইডিতে এই নিয়ে স্ট্যাটাস দেয়। স্ট্যাটাসে গৃহবধূর স্বামী এনামুল হকের বক্তব্য তুলে ধরেন। তার স্বামী আহাজারি করে বলেন, এমন অসহায় পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে ভাবি নি। পুলিশদের কাছে অনেক কাকুতিমিনতি করেছি, তবু যেতে দেন নি তারা।

অটোবাইক চালকও নেমে তাদের গিয়ে বলেছেন, একবার দেখে যান, মহিলাটির খুব বিপদ। উল্টো তারা অটোবাইক চালককে গাড়ি নিয়ে কেন বের হয়েছেন বলে ধমকাধমকি করেছেন। উপায়ন্তর না দেখে আমরা বাড়ি ফিরে যাচ্ছিলাম। অবশেষে কলেজ মোড় এলাকায় স্থানীয় মহিলাদের সহযোগিতায় অটোর ভেতরেই সন্তান প্রসব করছে আমার স্ত্রী।

বেলগাছা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের সাথে এ বিষয়ে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি কিছুক্ষণ আগে জেনেছি। আমি ঘটনাস্থলে ওয়ার্ড মেম্বারকে পাঠাচ্ছি।

ইসলামপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আমার এসআই কোনো বাধা দেন নাই। ওখানে রেলগেইট এলাকায় রেললাইনের কাজ চলায় গতকাল থেকে রাস্তা বন্ধ। ওখানে কোনো অটো আসে নাই। পুলিশ দেখলে অটো দুইশ গজ দূরে থাকে। ওই গৃহবধূটির গার্ডিয়ান পুলিশকে এসে বলেও নাই। এছাড়া গেটব্যারিয়ার খুলে দেওয়া পুলিশের কাজ না।

ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, আমার কাছে ওই গ্রামের মেম্বার ফোন দিয়েছিলেন। তিনি তো বললেন হাসপাতালে নিয়ে গেছে ওই রোগীকে। আপনি ভালো করে খবর নেন। আমি যতটুকু জানি, ওই জায়গায় যে এসআই ছিলো তার সাথে আমি কথা বলেছি। সে বলেছে, স্যার, তাকে হসপিটালে পাঠাচ্ছি।সূত্র: পরিবর্তন

সংবাদটি শেয়ার করুন

Comments are closed.

এ বিভাগের অন্যান্য খবর

নোটিশ : ডেইলি সিলেটে প্রকাশিত/প্রচারিত সংবাদ, আলোকচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও বিনা অনুমতিতে ব্যবহার করা বেআইনি -সম্পাদক

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত

২০১১-২০১৭

সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতি: মকিস মনসুর আহমদ
সম্পাদক ও প্রকাশক: খন্দকার আব্দুর রহিম, নির্বাহী সম্পাদক: মারুফ হাসান
অফিস: ৯/আই, ব্লু ওয়াটার শপিং সিটি, ৯ম তলা, জিন্দাবাজার, সিলেট।
ফোন: ০৮২১-৭২৬৫২৭, মোবাইল: ০১৭১৭৬৮১২১৪
ই-মেইল: dailysylhet@gmail.com

Developed by: